যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের তীব্রতা না বাড়িয়ে আরও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই সর্বশেষ আহ্বান এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি হামলায় যোগ দেবেন কিনা তা বিবেচনা করছেন। বিবিসি’র মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে যে ট্রাম্প হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, কনজারভেটিভ দলের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেম প্রীতি প্যাটেল এবং সাবেক কনজারভেটিভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইউকে সরকারকে ইরানের ওপর হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, ব্রিটেনের শীর্ষ আইন উপদেষ্টা লর্ড হার্মার বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ডেম প্রীতি প্যাটেল যুক্তি দিয়েছেন যে যুক্তরাজ্যের পক্ষে ‘সংকটের সময়ে আইনি পরামর্শের আড়ালে লুকিয়ে থাকা’ সম্ভব নয়।
তবে লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা স্যার এড ডেভি যেকোনো আইনি পরামর্শ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শেষ যা প্রয়োজন তা হলো যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি অবৈধ যুদ্ধে যুক্তরাজ্যকে টেনে নিয়ে যাওয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য কোনো হামলায় যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন, ‘পারমাণবিক বিষয়টি মোকাবিলা করা দরকার, তবে সংঘাতের চেয়ে আলোচনার মাধ্যমেই এটি মোকাবিলা করা ভালো।’
লর্ড হার্মার থেকে তিনি কোনো আইনি পরামর্শ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ কোনো সরকারই প্রকাশ করে না,’ তবে ‘মূলনীতি, চালিকা শক্তি হলো উত্তেজনা কমানো।’
কেয়ার স্টারমার আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও স্বীকৃতি দিই, আমাদের উত্তেজনা কমাতে হবে। এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি স্পষ্ট।’
এদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ওয়াশিংটনে তার মার্কিন সমকক্ষ মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এই বৈঠকটি মূলত সোমবারের জন্য নির্ধারিত ছিল, যখন ল্যামি ইরান এবং ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছিলেন।
গত সপ্তাহে যখন মার্কো রুবিও ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের দুটি কট্টরপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছিলেন, তখন এই দুই নেতা সেই মতবিরোধ দূর করার চেষ্টা করবেন।