ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ জন। দুর্ঘটনায় আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শুক্রবার (২০ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফুলপুর পৌর শহরের কাজিয়াকান্দা চরপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস ও মাহিন্দ্রার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় মাহিন্দ্রার ছয় যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফুলপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদী জানান, শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাট যাচ্ছিল। পথে কাজিয়াকান্দা চরপাড়া এলাকায় মাহিন্দ্রার সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রার ৬ যাত্রী মারা যান।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে তারাকান্দায় যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আহত আরও চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে- রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটোরিকশারচালক মোহাম্মদ আলম (৩৮) মারা যান।
নিহত মোহাম্মদ আলম ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়নের শুইলাম বুধবারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। অন্য দুই নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. টিপু সুলতান বলেন, যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা যাত্রী এক নারী ও এক শিশু ছেলে নিহত হয়। ঘটনাস্থলে নিহত দুইজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। অ্যাম্বুলেন্সটি পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। গাড়িতে কোনো রোগী ছিল না। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।