ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, নিজেকে হিন্দু দাবি করা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে বিশ্বজিতকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আপনারা চাইলে ইতিহাস ধারণ করে রাখার জন্য, আপনাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জবির নতুন একটি হল বিশ্বজিতের নামে রাখতে পারেন।
শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, জবির শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক আন্দোলন করেছে। আমরা রাজনৈতিক নেতারা সে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছি। যৌক্তিক আন্দোলনকে যেন বিতর্কিত করতে না পারে সেটি আমরা চেয়েছি। আপনাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আপনারা চাইলে সেই সঙ্গে শহিদ দর্জি বিশ্বজিতকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান কোনো পরিকল্পিত আন্দোলন ছিল না, বরং এটি ছিল ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল বা ব্যর্থ বলার সুযোগ নেই। বরং জুলাইয়ের আন্দোলনে ৯০ শতাংশ অবদান ছিল রাজনীতিবিদদের।
তিনি সরকারের কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, সরকার পরিবর্তন করলেই হবে না, সরকার ব্যবস্থাও সংস্কার করতে হবে। এটাই রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার। এটাই জুলাই শহিদদের প্রকৃত দাবি।