ঢাকা: সুইস ব্যাংকে এত টাকা গেল কীভাবে- সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পত্রিকায় একটা খবর দেখে মনটা খারাপ হল। সুইস ব্যাংকে অনেক টাকা জমা হয়েছে একবছরের মধ্যে। আমি জানি না এই টাকাগুলো কাদের, কবে, কীভাবে জমা হয়েছে। কিন্তু, এই খবরটা দেখলে প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের মনে হবে তাহলে কি কোনো পরিবর্তন হয়নি?’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে কথাগুলো এর আগে বললাম, সম্পদগুলো নিয়ে গেছে, সেই মাফিয়ারা, ফ্যাসিবাদীরা; হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে তাহলে কী? আমি জানি না, অ্যাকজ্যাক্টলি আই ডোন্ট নো, এটা কখন হয়েছে?’
‘২৪ সাল যদি হয়, এটা সঠিকভাবে হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট আমলে হয়েছে। আরেকটা হচ্ছে, এটা প্রমাণ হয়েছে যে, একটি পরিবার লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিচার ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সব কিছুকে ধবংস করে দিয়ে গেছে। আজ চেষ্টা করা হচ্ছে এগুলোকে আবার একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছেন। নিঃসন্দেহে তারা অনেক কাজ করেছেন। তারা ভালো কাজ করছেন, আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম তারা সবাই একযোগে তাদের সহযোগিতা করব। আমাদের যে লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা- সেই জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব।’
নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করায় এনসিপিকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেশ কয়েকটা রাজনৈতিক দল নতুন তৈরি হয়েছে। একটা গুরুত্বপূর্ণ দল আগামীকাল নিবন্ধনের জন্য জমা দেবেন, ছাত্ররা সেখানে আছেন। আমরা নতুন দল হওয়ার জন্য স্বাগত জানিয়েছি, এখনো স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা তাদের প্রতি অনেক বেশি। আমরা প্রত্যাশা করি যে, তরুণেরা, এই নবীনের যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাদের সহকর্মীরা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবেন।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও পলিট ব্যুরোর সদস্য রাশেদ খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণফোরামের মিজানুর রহমান, বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিএনপি আবদুস সালাম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আমজনতার দলের রাশেদ খান প্রমুখ।