গলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাই হবে সাদা পোশাকে তার শেষ ম্যাচ, ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন শ্রীলংকার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। চোখের জলে বিদায় নেওয়ার পর ম্যাথিউস ধন্যবাদ জানালেন সবাইকেই।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়মিত খেলছেন ম্যাথিউস। সেই সুবাদে সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা পুরনো। তবে বিশ্বকাপে সাকিবের সেই টাইমড আউট কাণ্ডের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাথিউসের সম্পর্কটা পেয়েছে নতুন মাত্রা।
শেষ টেস্টে অবশ্য সেই দ্বন্দ্বের রেশ দেখা যায়নি। ম্যাথিউসকে গার্ড অফ অনার দিয়েছে বাংলাদেশ দল। পুরোটা সময়জুড়েই তার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ছিলেন মুশফিকসহ অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
ম্যাথিউসও আগের সেই মনমালিন্য ভুলে গেছেন, ‘বাংলাদেশ অনেক শ্রদ্ধাশীল ছিল। আমরা বহুদিন ধরে একে অপরকে চিনি। হ্যাঁ অতীততে কিছু মুহূর্ত গেছে আমাদের, উত্তপ্ত কিছু মুহূর্তও ছিল। তবে পুরনো কিছু আঁকড়ে ধরে থাকা উচিত নয়।’
বিদায় নেওয়ার পর টেস্টে নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউস ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকেই, ‘এটা বিশেষ এক অনুভূতি, হৃদয়কে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ, পরিবার, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ, কোচিং স্টাফ সবার কাছেই। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সমর্থকরা আমার পাশে ঠেকেছে। ভালো-খারাপ দুই সময়েই। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, উত্থান পতন ছিল। আমি সবকিছু উতরে যেতে পেরেছি সবার সাহায্যের কারণেই।’
ক্যারিয়ারে অনেক সমালোচনা শুনেছেন নানা কারণেই। ম্যাথিউস জানালেন, সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন তিনি, ‘আমি সবসময় সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতাম। একজন ক্রিকেটার হিসেবে অনেক ভুল থাকবেই। আমি সবসময় শেখার চেষ্টা করেছি। সবকিছু হাসিমুখে মেনেও নিয়েছি। কিছু কিছু সময় মনে হয়েছে সমালোচনাটা একটু কঠোর হয়ে গেছে, তাও দিনশেষে সেটা আমাকে এমন ব্যক্তি বানিয়েছে যে দেশের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিতে রাজি।’
গলের মাঠে নিজের শেষ টেস্ট খেলে বেশ আবেগি বার্তাই দিলেন ম্যাথিউস, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ এক ভেন্যু। প্রথম ম্যাচ, শততম ম্যাচ, শেষ ম্যাচ-সব এখানেই খেলেছি। এটা আমার জন্য বিশেষ এক জায়গা হয়ে থাকবে। এখানে আমরা হেরেও যেতে পারতাম, কারণ বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। আমরা লড়াই করেছি। এখনো শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে।’