নোয়াখালী: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে কলেজে থেকে যাওয়ার পথে চাকায় বোরকার কাপড় পেঁচিয়ে ইশরাত জাহান শান্তা (১৮) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) রাত ৮টার দিকে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার বিকেলের দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে শান্তা মারা যায়। এর আগে, রোববার দুপুরে নোয়াখালী হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান শান্তা হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের মানবিক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. আরিফের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দুপুরে মোটরসাইকেলে বাবা-মেয়ে কলেজে থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। মোটরসাইকেলটি সোনাদিয়া এলাকার হিল্টন রোডে পৌঁছালে শান্তার বোরকার একটি অংশ পেছনের চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। গলায় ঝুলানো থাকা বোরকার অংশটি টান পড়লে শান্তা মাটিতে ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেলের গতি থাকায় তাকে অনেকটা দূর টেনে নিয়ে যায়। পরে পথচারীরা আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে । শান্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেলের দিকে তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. শামীম জানায়, শান্তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। এছাড়া তার ওড়না পেঁচিয়ে যাওয়ায় গলায় শ্বাসরোধ হওয়ার মতো চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে আনার পর তার অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
শান্তার চাচা মো. আশরাফ জানায়, ঢাকা নেওয়ার জন্য নদীর ওপারে পৌঁছালে শান্তার মৃত্যু হয়। পরে শান্তার মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।