ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানে মার্কিন হামলার পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে খামেনি এ কথা বলেন।
খামেনির ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে। এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে। তারা এখনই শাস্তি পাচ্ছে।’
এর আগে, গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পালটা হামলা শুরু করে ইরানও। তখন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ বাসভবন ছেড়ে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।
৮৬ বছর বয়সী খামেনির আশঙ্কা, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হত্যা করতে পারে। তেমনটা ঘটলে দ্রুত সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। ইরানের আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীর সর্বময় ক্ষমতা খামেনির হাতে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, লন্ডনের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় হওয়া এই ফোনালাপে দুই নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ‘গম্ভীর হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
স্টারমার ও ট্রাম্প মনে করেন, এই হামলা ইরান থেকে আসা হুমকি কমানোর একটি প্রচেষ্টা।
ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতির বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে তারা একমত।
এই দুই নেতা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে ইরানের যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা প্রয়োজন। তারা ভবিষ্যতেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।