সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজমিস্ত্রী নিহত হয়েছেন।
রোববার (২২ জুন) রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া।
নিহত ব্যক্তি আবু সাঈদ (৩১) দিরাই উপজেলার তারপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুইদিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এই ঘটনায় অস্ত্র উদ্ধার করতে রোববার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একটি দল দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনীর অভিযানিক দল ওই গ্রামে ঘেরাও দিলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রী আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুইঞা বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি গুলিবিদ্ধ এক রাজমিস্ত্রী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন সেটা বলা সম্ভব নয়।’