চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুটি পৃথক ধর্ষণ মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদী গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) এবং জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। রায় ঘোষণার পর তাদের পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে নাজমুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে ২০১৫ সালের ৮ জুন আব্দুল খালেক তার ভায়রাভাইয়ের ৬ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা পরদিন ৯ জুন জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল জানান, উভয় মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে আদালত দুজনকেই পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। আদালত মনে করেন, এই রায় যথার্থ হয়েছে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে।
