ঢাকা: নবজাতক ও মায়েদের জীবন রক্ষায় কার্যকর উদ্ভাবনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তিন বছর ব্যাপী চলমান এসডব্লিউএপি প্রকল্প। জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগিতায় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সেভ দ্য চিলড্রেন।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানী একটি হোটেলে প্রকল্পটির সমাপনী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় একটি ‘লার্নিং ডিসেমিনেশন ও সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠান। এতে স্বাস্থ্যখাতের সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া ‘সেইভিং উইমেন অ্যান্ড প্রিম্যাচিউর বেবিস’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল জটিল গর্ভাবস্থায় থাকা মা ও ছোট ও অসুস্থ নবজাতকদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ঢাকা, সিলেট ও লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসিপিএস সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শাহিদুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন হেলথ সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জয়নাল আবেদিন টিটো। তিনি কার্যকর উদ্যোগগুলো দেশব্যাপী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমসিআরএএইচ এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. সোহেল হাবিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের পরিচালক ডা. মো. সুলতান আহমেদ, বিপিএস এর সভাপতি প্রফেসর মেজর (অব.) ডা. লায়লা আরজুমান বানু, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. উমর রশীদ মুনীর, শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এসডব্লিউএপি প্রকল্পের আওতায় ফ্যামিলি সেন্টারড কেয়ার (এফসিসি) ও নিওনাটাল লাইভ (এনএনএল) প্রশিক্ষণ মডেলসহ আরও বেশ কিছু হস্তক্ষেপ মায়ে ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়াও, প্রকল্পটি কেবল চিকিৎসা সেবায় নয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত ও সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।