ঢাকা: আদালতে দেওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছে, এটা তো উনার (হাবিবুল আউয়াল) মতামত। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নাই।
‘এখন তো অনেকে ভলো ভালো কথা বলবে। সব আকাম কুকাম করে এখন ভালো ভালো কথা বলে তো লাভ নেই’- বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
আমীর খসরু বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার যে বৈঠক হয়েছে লন্ডনে, সেটা আমরা শেয়ার করেছি। আমরা যুগপত আন্দোলনে এক সঙ্গে আছি, সুতরাং আমাদের সঙ্গে যারা দীর্ঘ সময় রাজপথে আন্দোলন করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমাদের সব আগ্রগতি তাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আজকে লন্ডনের মিটিং আমরা শেয়ার করেছি এবং দুই পক্ষই অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটা ঘোষণা আসছে। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগমীতে কীভাবে এগিয়ে যাব, নির্বাচনি কর্মকাণ্ড কীভাবে এগিয়ে নেব, ৩১ দফা কর্মসূচি কীভাবে বাস্তবায়ন করব, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতপার্থক্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এটা নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নাই। একটা জিনিস ড. ইউনূস বলেছেন, তারেক রহমানও বলেছেন, প্রায় সব দলের মধ্যে একটা ঐকমত্য হয়েছে, সেটা হল ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে কটি সংস্কার করা সম্ভব, সে কটি সংস্কার হবে। তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কারণ, প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা আছে, দর্শন আছে, সুতরাং এখানে সব বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কোনো বিষয় একজনের কাছে গুরুত্বপুল্ণ, কোনো বিষয় আরেকজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ- এই ডিফারেন্স থাকবে। এই জন্য যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেই বিষয়গুলো সংস্কার হয়ে যাবে। বাকিগুলো আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে নিয়ে যাবে প্রত্যেকটি দল।’’
ইশরাক ইস্যুতে আমীর খসরু বলেন, ‘বিচার বিভাগ ইশরাকের পক্ষে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন তাদের মতামত দিয়েছে। সুতরাং আইনগত দিক থেকে তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারাও আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। আইনের শাসনে যদি আমরা বিশ্বাস করে থাকি তাহলে ইশরাকের দায়িত্ব নেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
যুগপত আন্দোলনের সঙ্গীদের জন্য আসন ছাড়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো আমরা ওই পর্যায়ে আসি নাই। যখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তখনই এই আলোচনাগুলো আসবে এবং সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হবে।’