নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বসত বাড়ির পুকুরে কুমির নয় ভাসছিল বড় গুইসাপ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে বন বিভাগের জীববৈচিত্র বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত রোববার (২২ জুন) থেকে পুকুরে পুকুরে কুমির ভাসছিল এমন গুজবে সয়লাব হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
বন বিভাগ জানায়, বুধবার (২৫ জুন) দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হাতিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামে বাড়ির পুকুরে কুমির ভাসছিল এমন সংবাদ আসে তাদের কাছে। পরে হাতিয়া বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা বন বিভাগকে বিষয়টি জানান। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জীববৈচিত্র কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। তারা গিয়ে দুটি পুকুরের কোথাও কুমির ভাসতে দেখেননি। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করেন। ছবি ও ভিডিও দেখে প্রাথমিকভাবে গুইসাপ মনে হলেও সন্দেহ দূর করতে দুটি পুকুরে জাল ফেলা হয়। কিন্তু কোনোটিতেই কুমিরের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের জীববৈচিত্র কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানায়, খবর পেয়ে তারা বৃহস্পিতিবার দুটি পুকুরে জাল ফেলেন। সেখানে কুমিরের কোনো অস্বিত্ব পাওয়াই যায়নি। তবে ছবি ও ভিডিও দেখে অনুমান করা হয়েছে এটা মূলত গুইসাপ। গুইসাপটি অনেক বড় হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতহল তৈরি হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই করে যা বুঝা গিয়েছে তা মূলত গুইসাপ, এটা কুমির নয়।
আরও পড়ুন- নোয়াখালীতে পুকুরে দেখা মিলল কুমিরের
বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির পুকুরে এ প্রাণিটি দেখা যায়।
পুকুরের মালিকের মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ জানায়, গত রোববার বিকেলে তার পাশের বাড়ির বেলালের লাড়কির ঘরে প্রথমে এটি দেখতে পাওয়া যায়। ওই সময় তারা প্রাণিটিকে তাড়া দিলে সেটি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের পুকুরে পড়ে যায়। পরে বুধবার বিকেলে পুনরায় প্রাণিটিকে তার পুকুরে ভাসতে দেখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ তার বাড়ির পুকুরের চারপাশে ভিড় করে।
শরীফ জানান, বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণিটিকে পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। ওই প্রাণি দেখতে কুমিরের মতো হলেও গায়ের বর্ণ হলুদ, পিঠে কাঁটা কাঁটা মনে হয়েছে। তবে সেটা কুমির কিনা তা তারা নিশ্চিত ছিল না। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই প্রাণিটিকে দেখা যায়নি। পরে সকালে বন বিভাগের লোকজন পুকুরে জাল ফেলে এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করেও প্রাণিটিকে পাওয়া যায়নি।
