ঢাকা: আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি উপকরণ কেনা শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রকিউরমেন্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এজন্য একটা টেন্ডার একটু পরিবর্তন করতে হবে। সে কার্যক্রমও চলছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণ বিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি মুদ্রণ কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সংবলিত হয়ে থাকে। এ কারণে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ পেপার স্বল্প সময়ের মধ্যে মুদ্রণপূর্বক মাঠ কার্যালয় সমূহে বিতরণ করতে হবে। অন্যান্য ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টার, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি সম্ভাব্য সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মুদ্রণ পূর্বক সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, ‘৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চেয়ে আবেদন এসেছে। এসব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন পাওয়া গেছে। তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় ১৪৪টি দল আবেদন করেছে। এসব আবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য ২০ জন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনি প্রতীকের সংখ্যা বাড়বে। এজন্য তফসিল সংশোধন করতে হবে। তবে সেখানে যোগ করার আগেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি কোর্টের আদেশে জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে।’