নোয়াখালী: জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ী পরিবারের ওপর কয়েক দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তিনজনকে কুপিয়ে জখমসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারী ও আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিজেদের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এ সময় তাদের ওপর হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সাংবাদিকদের প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পেয়ার আহম্মদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক স্থানীয় সাংসদের ক্ষমতা ব্যবহার করে ইশতিয়াক আলম সোহান ও তার লোকজন এলাকায় ব্যপক তান্ডব চালিয়েছিল। গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও থামেনি তার আধিপত্য। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাড়ির পাশের জায়গা দখল করে রাখে বিএনপি পরিচয়দানকারী মাহবুবুল আলম তপন ও তার লোকজন। এ নিয়ে আইনের দারস্ত হয়েও আমরা কোনো প্রতিকার পায়নি। বর্তমানে তারা কিছু বিএনপির লোকজন নিয়ে আবারও আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।’

হামলার সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা ছবি।
তিনি বলেন, ‘এর জের ধরে গত শনিবার রাতে মাহবুব আলম তপন, স্বপন, ইক্কনসহ সোহানের কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাদের বসত ঘরে অতর্কিত হামলা চালায় । এ সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠি আমার পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি জখম করে। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা আমিসহ আমার ভাই ও বাবাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। হামলাকারীরা আমাদের ঘর থেকে স্বর্ণ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আমরা যেন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে না যেতে পারি তার জন্য সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ির পাশের সড়কে অবস্থান করে। অন্য সড়ক ব্যবহার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আমরা যাওয়ার পর সেখানে দ্বিতীয় দফা আবারও আমাদের ওপর হামলা চালায় ইশতিয়াক আলম সোহানের লোকজন।’
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ইশতিয়াক আলম সোহান আত্মগোপনে চলে গেলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মাদক বিক্রেতা মাহবুব আলম তপন, সাইফুল ইসলাম স্বপন, মহিদুল ইসলাম ইক্কন, শেখ শহিদুল ইসলাম সোহান ও রোহানরা আমাদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাচ্ছে এবং আমাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে।’ এসব ঘটনা থেকে মুক্তির জন্য তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছেন।