মিশরের মিনুফিয়া প্রদেশের আশমাউন শহরে একটি ট্রাক ও শ্রমিক পরিবহণকারী মিনিবাসের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মেয়ে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) ভোরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে, যখন শ্রমিকরা মিনিবাসে করে নিজ গ্রাম কাফর আল-সানাবসা থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদপত্র আখবার আল-ইউম জানিয়েছে, মিনিবাসটি অতিরিক্ত গতি সম্পন্ন একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই ছিল কিশোরী, যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।
মিশরের শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন বেঁচে গেছেন এবং তাদের আশমাউন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশটির শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলার) এবং আহতদের ২০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪০০ ডলার) করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মিনুফিয়া প্রদেশের গভর্নর ইব্রাহিম আবু লাইমুন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে অতিরিক্ত গতি এই দুর্ঘটনার একটি প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার শিকার কিশোরীদের মিশরের গণমাধ্যম ‘রুজির জন্য শহিদ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই একই সড়কে গত এপ্রিলেও একটি দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। তাই সড়কটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে দেশের পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাবে, মিশরে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ শিশু কোনো না কোনো ধরনের শ্রমে নিযুক্ত, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায়। এসব শিশু শ্রমিকের অনেকেই প্রতিদিন অতিরিক্ত ভিড়যুক্ত, ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের মাধ্যমে কর্মস্থলে যাতায়াত করে থাকে, যা অনেক সময়ই প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।