ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, চাঁদাবাজির একটা সমাহার চলতেছে। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, চাঁদাবাজি করে অন্য দলের লোক, নাম হয় বিএনপির। কোনো অফিসে, আদালতে, দোকানে, ফুটপাতে চাঁদাবাজকে জায়গা দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। যদি এটা বিএনপিরও হয় তাকেও ছাড় দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির রমনা থানার সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকায় কিছু লোক চাঁদাবাজি করছেন। তারা পরিচয় দিচ্ছেন যে তারা মির্জা আব্বাসের লোক। আমার কোনো আত্মীয়স্বজন চাঁদাবাজি করতে যায় না। আমার কথা বলে যে চাঁদাবাজি করবে তাকে ছেড়ে আপনারা কথা বলবেন না। তাকে ধরবেন, উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে দিবেন। মির্জা আব্বাসের বন্ধু, মির্জা আব্বাসের সহকর্মী চাঁদাবাজ হতে পারে না।
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থায় অভ্যস্থ। তাই পিওসেআর সিস্টেমে ত্রয়োদশ নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা সফল হবে না সরকার। তারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করে এই জাতির সর্বনাশ করে দিতে চাচ্ছে। বিচার, সঙ্গেস্কারকেও নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে রাজনৈতিক মাঠে একটা চক্র কাজ করে যাচ্ছে।
দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ এর বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, হাজার সুবিধা নেওয়ার জন্য বহু লোক এখন দলের ভেতর ঢুকছে, প্রশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপি সম্পর্কে এক শ্রেণির মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা চক্রান্ত করে বিএনপিকে জনগণের সামনে পঁচিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে।
কাকে আপনি সদস্য করছেন সেটি চিন্তা করতে হবে। প্রয়োজনে কোনো সদস্য সংগ্রহ করা যাবে না, কিন্তু একটা খারাপ লোকও যেন সদস্য না হয়। দুষ্টু গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো।