ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রথম দফায় দেশে ফিরতে চাওয়া ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক আজ (২৯ জুন) বিকেলে করাচি পৌঁছাবেন। আগামীকাল (৩০ জুন) করাচি থেকে বিমানযোগে ঢাকার পথে তারা রওয়ানা দেবেন তারা।
রোববার (২৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইরান থেকে যে ২৮ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে আসছেন, তারা আজ (রোববার) ভোরে পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে করাচির উদ্দেশে বাসযোগে রওয়ানা দিয়েছেন। তারা আজ বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ করাচি পৌঁছাবেন। সেখানে তারা রাতে হোটেলে থাকবেন। আগামীকাল বিমানযোগে ঢাকার পথে রওয়ানা দেবেন।
তিনি আরও জানান, যারা আসছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ডায়ালাসিসের রোগী রয়েছেন। সে কারণে কোয়েটা থেকে করাচি আসার পথে তাদের সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সও রয়েছে। তারা করাচি পৌঁছানোর পর ডাক্তাররা তাদের শারিরীক অবস্থা চেক করবেন। শারিরীক অবস্থা সাপেক্ষে তাদেরকে ফ্লাইটে উঠানো হবে। করাচি থেকে তৃতীয় কোনো দেশের বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরবেন।
সূত্র জানায়, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে তেহরান থেকে প্রথম দফায় গত ২৫ জুন সড়ক পথে ২৮ জন বাংলাদেশি রওয়ানা দেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা। তারা তেহরান থেকে সড়ক পথে বেলুচিস্তানের তাফতান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন।
ইরান থেকে সংঘাতের শুরুতে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন সংঘাত থেমে যাওয়ায় অনেকেই ফিরতে আগ্রহী নন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান থেকে দেশে ফেরার জন্য এরইমধ্যে ২৫০ জন বাংলাদেশি তেহরান দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্প ছিল সরকারের। তবে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আর ইরানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশিরা ফিরতে পারবেন।
জানা গেছে, ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন । এর মধ্যে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি আছেন। ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৬৭২ জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬৬ জন।