দুজনের বন্ধনটা যেন দেশের গণ্ডিকেও হার মানিয়েছে। ট্রাম্প আবারও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সেই বন্ধনের ঝলক দেখিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (২৮ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলাটিকে রাজনৈতিক কুচক্রের শিকার আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলি প্রসিকিউটরদের ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি সতর্ক করেন, ওয়াশিংটন প্রতিবছর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেয়, ওই বিচারকার্য সে সহায়তার কার্যকারিতা বিপন্ন করতে পারে।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এটি পাগলামি, বিবি নেতানিয়াহুর সঙ্গে যা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর যে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসরায়েলকে রক্ষা ও সহায়তা করতে, আমরা এ রকম আচরণ সহ্য করব না।’ একই পোস্টে তিনি দাবি করেন, বিচারকার্যে সম্পৃক্ত থাকার কারণে নেতানিয়াহুর জন্য হামাস ও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
নেতানিয়াহুকে ২০১৯ সালে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়; ২০২০ সালে শুরু হওয়া মামলাটি তিনটি পৃথক ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে গঠিত। গত শুক্রবার (২৭ জুন) আদালত কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত অজুহাতে তার সাক্ষ্য দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) ক্রস-একজামিনেশনে তার দাঁড়ানোর কথা রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রসিকিউশনের একজন মুখপাত্র ট্রাম্পের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানান। অন্যদিকে নেতানিয়াহু এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ট্রাম্পের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘আবারও ধন্যবাদ, @realDonaldTrump। একসঙ্গে আমরা মধ্যপ্রাচ্যকে আবার মহান করে তুলব!’
ট্রাম্প দাবি করেন, নেতানিয়াহু বর্তমানে হামাসের সঙ্গে একটি বন্দিমুক্তি-কেন্দ্রিক চুক্তি এবং ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভাষায়, চলমান বিচার এ ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে, সেটির সঙ্গেও ট্রাম্পের বক্তব্য সমন্বিত বলে জানা গেছে।