ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় দুর্নীতি অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশনের ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আগামী ২ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান রাকিবুল হায়াত সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
তলব করা ছয় কর্মকর্তা হলেন- ইসির উপপ্রধান সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার ও ওই সময়ের সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
ইসি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছয়জনই পদন্নোতি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনজন ইসিতে কর্মরত নেই। এছাড়া ইভিএম কেনার সঙ্গে আরও কয়েকজন সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করে সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প নেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাসহ অন্যরা। টেন্ডার ছাড়া বাজার দরের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইভিএম কিনে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করেন তারা। এ বিষয়ে আগামী ২ জুলাই ওই ছয় কর্মকর্তার বক্তব্য প্রয়োজন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।