সিলেট: মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিতরণ অনুপযোগী ২৩৪ বস্তা ভিজিএফের চাল মাটিচাপা দিয়েছেন। পৌরসভা প্রশাসক জানিয়েছেন, আকস্মিক বন্যায় ভিজে পচে যাওয়ায় চালগুলো বিতরণের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল।
তবে পৌরসভার কয়েকজন সচেতন নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের সন্দেহ, লুটপাটের অসৎ উদ্দেশ্যে চালগুলো দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়েছিল। এর ফলেই সেগুলো বন্যার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে তারা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) বিকেলে ৭ মেট্রিক টন পচা চাল গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বড়লেখা পৌরসভার অনুকূলে প্রায় ৩১ মেট্রিক টন (১০২৭ বস্তা) ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। গত ২৯ মে খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে পৌরসভা হলরুমে রাখা হয়। ২ জুন থেকে চাল বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও, ৩১ মে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পৌরসভা কার্যালয়ের ভেতর ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে যায়।
এতে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল ভিজে নষ্ট হয়ে বিতরণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পচা চালের দুর্গন্ধে ছড়ায়। অবশেষে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গরুর হাটের পরিত্যক্ত স্থানে চালগুলো মাটিচাপা দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম জামালুদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবজিৎ চন্দ্র দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফখরুল আমিন খান, হিসাব রক্ষক আব্দুল লতিফ, কর নির্ধারক তোফায়েল আহমদ, ব্যবসায়ী শামীম আহমদ প্রমুখ।
বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘ভিজিএফের বিতরণ অনুপযোগী চালগুলো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম জামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ২৩৪ বস্তা চাল মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।’