ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সংস্কার নিয়ে কখনো বা খুশি হওয়া উচিত নয়। কেননা খুশি হলে আর কিছুটা করার থাকে না। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যতটুকু জনবান্ধব করা যায়।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা কাটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গত এক বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কতটুকু সংস্কার হয়েছে। এই সংস্কার নিয়ে আপনারা সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের উত্তরে এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে কখনো খুশি হওয়া উচিত নয়। কেননা খুশি হলে আর কিছুটা করার নেই। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যতটুকু জনবান্ধব করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি কথা বলতে চাই, মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের বিভিন্ন কারণে যে সাফারিং, সেটা দূর করার জন্য চেষ্টা করেছি। সবই যে করতে পেরেছি, তা নয়। ওমানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কর্মীদের পাসপোর্ট দিতে, যেন রাস্তায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়। বাকি মিশনগুলোকেও এই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত না আনতে পারার জন্য কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আক্ষেপ তো একটা নোডেট টার্ম। কার কতটুকু আক্ষেপ আমি জানি না। আমি এটাকে দেখি এভাবে, আমরা ফেরত আনার জন্য চিঠি দিয়েছি, প্রয়োজনে সেটা ফলো আপ করা হবে। এইটুকুই।’
গঙ্গার পানি চুক্তি বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত ২০ বছর বাংলাদেশ ভারতের কাছে পানির নায্য হিসা দাবি করে আসছে। কিন্তু ভারত কখনই পানির হিস্যা বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেয়নি। আগামীতেও বাংলাদেশের পানির নায্য হিস্যার দাবি জানানো হবে। ঠিক তিস্তার পানি ক্ষেত্রে একই কথা। সেখানেও বাংলাদেশ পানির নায্য হিস্যার দাবি জানিয়ে আসছে।’