ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, হাসিনা ন্যায় বিচার উঠিয়ে দিয়েছিল। তাই তার পতন হয়েছে পালানোর মাধ্যমে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের ভূত এখনো আমাদের তারা করছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজিত সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা হারাইনি। তবে শহিদ ও আহত পরিবারগুলো যা দেখতে চায় সেটা তারা পাচ্ছে না। অনেকে দাবি দাওয়া নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সরকার সেটা পূরণ করতে পারছে না। এটা অভ্যুত্থানের সরকারের বৈশিষ্ট হতে পারে না। এটা মানুষের ভেতর ক্ষোভ তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকারের জন্য ৫৪ বছর ধরে আমরা লড়াই করছি। দেশের মানুষকে হেলিকপ্টার থেকে স্নাইপার দিয়ে গুলি করে লাশের স্তুপ করা হয়। যদি দেশের বিরুদ্ধে বেইমানি করা হয় তাহলে আমরা লড়ব। শহিদ ও আহত পরিবার এখনো তাদের বেদনা নিয়ে আর্তনাদ করেন। এটা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের জন্য গৌরবের না। যাদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ, সেখানে অন্য কথা আমাদের শোভা পায় না। আহতদের বাকি জীবনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যদি আমরা বিদায় করতে পারি তাহলে সংস্কারও নিশ্চিত করতে পারব। ভোট যেন কেড়ে নিতে না পারে সেজন্য ৫ আগস্টের মতো ঐক্য দরকার। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও গণসংহতি আন্দোলন লড়াই করে যাবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আগামী ৫ আগস্টের আগে ন্যায়বিচার দৃশ্যমান না হলে জুলাই শহিদদের আত্মা কষ্ট পাবে। আগামী ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই সমাবেশসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
সম্মিলনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ভুলে গেলে সরকারকে ভবিষ্যতে মীরজাফর হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।’