চট্টগ্রাম ব্যুরো: কারবালার মর্মন্তুদ সকরুণ শোকগাথার স্মরণে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে চট্টগ্রামে হয়েছে তাজিয়া মিছিল। এতে কালো পোশাক পরে খালি পায়ে শিয়া সম্প্রদায়ের শত, শত অনুসারী অংশ নেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে নগরীর সদরঘাট হোসাইনিয়া ইমামবারগাহ থেকে এবং বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী থেকে আলাদাভাবে তাজিয়া মিছিল বের হয়।
সদরঘাট থেকে বের হওয়া শোক মিছিলের নেতৃত্ব দেন হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আমজাদ হোসেন। নগরীর নিউমার্কেট, জিপিও, কোতোয়ালী মোড় ঘুরে আবার সদরঘাট ইমামবারগাহে ফিরে যান মিছিলকারীরা।
খালি পায়ে শত, শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর শোক মিছিলে অংশ নেন। বুক চাপড়ে সমবেতভাবে মর্সিয়া গেয়ে তারা স্মরণ করেন কারবালার মর্মান্তিক ইতিহাস।

‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে চট্টগ্রামে তাজিয়া মিছিল। ছবি: সারাবাংলা
নিউমার্কেট মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসমাবেশে আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘কারবালার আত্মত্যাগ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে নিজেদের মধ্যে হানাহানি। বর্তমান বিশ্বে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে কলঙ্কিত করার জন্য যেসব জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামের নামে মানুষ হত্যাসহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
সকালে সদরঘাট হোসাইনিয়া ইমামবারগাহে মাসায়েব মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইয়াজিদি বাহিনীর হাতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার সঙ্গীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মর্মস্পর্শী বর্ণনা যখন তুলে ধরছিলেন মাওলানা আমজাদ হোসেন, ‘ইয়া হোসেন ইয়া হোসেন’ বলে বুক চাপড়ে মাতম করতে থাকেন আবেগাপ্লুত মুসল্লিরা।
উল্লেখ্য ৬১ হিজরি সালের এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় নাতি হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহিদ হন। পবিত্র আশুরা তাই মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন।

খালি পায়ে শত, শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর শোক মিছিলে অংশ নেন। ছবি: সারাবাংলা
এদিকে বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে বের হয় আরও একটি শোক মিছিল। সেই মিছিলও নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আবার পাহাড়তলীতে গিয়ে শেষ হয়।