ঢাকা: পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী কামরুজ্জামানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ভাটারা থানাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকার একটি ৬তলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার সোনামুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভাটারা থানা পুলিশ গত ৫ জুলাই সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, খিলবাড়িরটেক এলাকায় একটি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের ৪র্থ তলার পূর্বপাশের ইউনিটে এক অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভাটারা থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছা. আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তালেবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তামান্না আক্তার ও কামরুজ্জামানের প্রায় তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। গত ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে তারা ভাটারা থানাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় একটি ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। একই দিন রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামরুজ্জামান তার স্ত্রী তামান্না আক্তারের গলা টিপে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন বলেন, মামলার পর ভাটারা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যে তামান্না আক্তারের স্বামী কামরুজ্জামানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার সোনামুড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।