Monday 14 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২৫ ১৮:৪৪ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৮:৪৯

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়কর বিভাগের জুলাই মাসের রাজস্ব পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান – (ছবি : সংগৃহীত )

ঢাকা: আয়কর আদায়ে টিআইএনধারী ১ কোটি করদাতাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে আয়কর বিভাগের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

তিনি বলেন, যারা রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বকেয়া কর আদায়েও কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়কর বিভাগের জুলাই মাসের রাজস্ব পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা দেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আয়কর বিভাগের সদস্য, ঢাকাস্থ কমিশনার ও মহাপরিচালক, প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব (আয়কর বিভাগ) অংশ নেন এবং ঢাকার বাইরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর আদায় বাড়াতে হলে টিআইএন থাকা স্বত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না- এমন ৭২ লাখ করদাতা এবং রিটার্ন দাখিল করলেও যেসকল করদাতা আয়কর পরিশোধ করছেন না- এরূপ প্রায় ৩০ লাখ করদাতা এই ১ কোটি করদাতার নিকট থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আয়কর আদায় করতে হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আয়কর কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার হোক এই ১ কোটি করদাতা। এছাড়া, জরিপ এবং স্পট এসেসমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করে নতুন করদাতা খুঁজে বের করতে হবে।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বকেয়া কর আদায় বাড়াতে সভায় অংশগ্রহণকারী কমিশনারদের নির্দেশ দেন। জোন ভিত্তিক আদায়ের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের থেকে অবগত হন চেয়ারম্যান। বকেয়া আদায়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কি-না জানতে চান এবং আদায় বাড়াতে করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে আয়কর নথি সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলে ট্রান্সফারে আরও তৎপর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

তিনি করদাতাদের হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিতে চলতি মাসের মধ্যেই সকল নথি ট্রান্সফার সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।

তিনি যেকোন মূল্যে অডিট সিলেকশনে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, অডিট সিলেকশন হতে হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেখানে মনুষ্য কোনো প্রভাব কাজ করবে না। অডিটের উদ্দেশ্য কর আদায় বাড়ানো নয়, বরং কর ফাঁকি রোধ করে কর সংস্কৃতির উন্নয়ন এর মূল লক্ষ্য।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয় ও সম্পদ বৈষম্য কমিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোট রাজস্ব আদায়ে আয়করের হিস্যা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। বিদায়ী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মোট রাজস্ব আদায়ের বিপরীতে আয়কর খাতের আদায়ের হার বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কিছুটা কমেছে।

রাজস্ব পর্রয়ালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আয়কর বিভাগের সদস্য, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) মহাপরিচালক, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কমিশনার আলোচনায় অংশ নেন। সবাই বকেয়া আদায় বাড়ানো, ননফাইলারদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে কর আদায় এবং কর নেট বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

আয়কর রিটার্ন দাখিল এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব পর্যালোচনা সভা