চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশীয় জাহাজ নির্মাতা ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের নির্মাণ করা দুটি টাগবোট রফতানি করা হচ্ছে আরব আমিরাতে। দেশটির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং টাগবোট দুটি কিনছে। গত জানুয়ারিতে আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রফতানি করেছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, টাগবোট দুটির নাম- খালিদ ও ঘায়া। এর মধ্যে খালিদ ৬৪ টন এবং ঘায়া ৮০ টন বোলার্ড পুল (একটি টাগাবোটের অন্য জাহাজকে টানার ক্ষমতা) ক্ষমতাসম্পন্ন।
চলতি মাসেই টাগবোট দুটি রফতানি করা হবে জানিয়ে ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, ‘২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি জাহাজ রফতানির পরিকল্পনা আছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। এর মধ্যে দুটি অয়েল ট্যাংকার ও তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট। টাগবোট যারা কিনছে, আরব আমিরাতের সেই মারওয়ান শিপিং সেগুলোর ক্রয়াদেশ দিয়েছে। সেগুলো নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
এছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি রূপসা’ এবং ‘এমভি সুগন্ধা’ হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্টার্ন মেরিন গতবছর রায়ান নামের একটি জাহাজ রফতানি করেছে। এবার নতুন দুটি টাগবোট রফতানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই দুটি জাহাজ বিশ্বে মেইড ইন বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে। বিশ্বে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট হলো শিপ বিল্ডিং। এই বাজারে আমাদের যদি এক শতাংশ জাহাজ পাঠানো যায়, তাহলে বাংলাদেশ অনেক আয় করতে পারবে।’