কক্সবাজার: দেশ থেকে সিমেন্ট ও সার পাচার হয়ে মিয়ানমারে যাচ্ছে, আর বিনিময়ে ইয়াবা ও সিগারেট ঢুকছে—এমন মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. এম. খায়রুল আলম।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মাদক, মাইন বিস্ফোরণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমার দেশের সিমেন্ট পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে। সেই সিমেন্ট দিয়ে দুর্গ গড়ে তুলছে। তৈরি করছে বাঙ্কার। একদিন সেই বাঙ্কার থেকে আপনাদের দিকে গুলি ছোড়বে। আমার দেশের সার চলে যাচ্ছে পাশের দেশে। সেই সার দিয়ে ফসল ফলাচ্ছে। তারা বলীয়ান হয়ে যুদ্ধ করবে আপনাদের সাথে। বিনিময়ে নিয়ে আসছেন ইয়াবা আর সিগারেট। আমরা ভাল জিনিস দিয়ে খারাপগুলো নিয়ে আসছি। তাহলে আমাদের দেশ প্রেম কি প্রশ্নবিদ্ধ নয়??’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। কঠোর থেকে কঠোরতর হব। বিজিবিকে সহযোগিতা করুন, আমরা জনগণের পাশেই আছি। চোরাকারবারিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক কাবুরী মার্মা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান আশিক এবং ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান।
সভায় ইউএনও মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সভা ও উঠান বৈঠক অব্যাহত থাকবে।’
সভা শেষে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও উপহার বিতরণ করা হয়।