ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফজলে রাব্বি সুমন (২৫) নামে এক যুবক হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় স্বজন ও বন্ধুরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে মৃত সুমনের স্ত্রী মঞ্জুমা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পখিয় গ্রামে। সুমনের বাবার নাম বশির উদ্দিন। বর্তমানে মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে থাকতেন তারা এবং সেখানে একটি হার্ডওযারের দোকানে কাজ করতেন সুমন।
সুমন মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভেতরে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানে মুন্না নামের এক ছেলে সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে সুমনের বন্ধুরা তাকে প্রথমে শিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে মারা যায় সুমন। জানা গেছে, সুমনের কাছে থাকা একটি মোবাইলও নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে স্বজন ও বন্ধুরা ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবকের পায়ের রানে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আলীম বলেন, ‘মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী এলাকায় সুমন নামে এক যুবক খুন হয়েছে। জানতে পেরেছি, মুন্না নামে এক যুবক সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। মুন্না ও সুমন পুর্ব পরিচিত। তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় একইসঙ্গে চলাফেরা করতো। দুজনের নামেই আগে থানায় মামলা রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।’