সিলেট: সিলেটে আবারও ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে। প্রায় ১০ দিন ধরে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট চরমে। প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকার ফলে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তাৎক্ষণিক উপায় নেই। কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন কেন্দ্র চালু না হলে দিন দিন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে অবসরে চলে গেছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলীও ।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘উৎপাদন কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের কাজে অনেক দিন লেগে যেতে পারে।’
এদিকে পাওয়ার স্টেশন বন্ধের কারণ ও চালু হওয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ও কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরা।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আচার্য জানান, ‘কুমারগাওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। পাওয়ার স্টেশনে ওইরকম কোনো সমস্যা নেই। কবে এই পাওয়ার স্টেশন চালু হবে-এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটাতো অন্য ডিপার্টমেন্টের, একটু জেনে জানাতে হবে।’
বিউবো সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় আমাদের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। তার ওপর আবার ঢাকা থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ। এখন প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই ভোগান্তি বেড়েছে।’
এ বিষয়ে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল কাদের সারাবাংলাকে জানান, ‘সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। ট্রান্সফরমার পুড়ে ওই উৎপাদন কেন্দ্র এখন বন্ধ। এটা বন্ধ থাকার কারণে ভোল্টেজও কম হচ্ছে। এ কারণে সিলেটে লোডশেডিংও বেড়ে গেছে। লোডশেডিং কমাতে হলে আমাদের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু করতে হবে। কিন্তু ওই উৎপাদন কেন্দ্র পিডিবির আওতাধীন না। তাই কবে নাগাদ এর সমাধান হবে তা বলতে পারছি না।’