চুয়াডাঙ্গা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। খুনি, জালেম, টাকা পাচারকারীদের বিচার না করে দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন হলো পিআর সিস্টেমে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটারদের মূল্যায়ন হবে। আর বার বার চেষ্টা করেও ফ্যাসিস্ট চরিত্র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবেনা।
পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলেন, পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়? আমরা বলি, এটা খাওয়ার বা মাথায় দেওয়ার বিষয় না—এটা হলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপায়।”
তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন কখনোই খুনি, চাঁদাবাজ বা বিদেশে টাকা পাচারকারীদের সিঁড়ি হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেনি। বরং মানবতার পক্ষে, ইসলামের পক্ষে এবং দেশের পক্ষে কথা বলে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এক সময় দেশের সংবিধান নিজের ও দলের স্বার্থে কেটে ছোট পুস্তিকা বানানো হয়েছিল। এখন সেই সংবিধান যেন কেউ আর ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করতে না পারে, সেই সুযোগ এসেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান সজিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
গণসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আমির রুহুল আমিন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা খেলাফত মজলিসের চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি মুফতি সোয়াইব হোসাইন কাসেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লব, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান রনি ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান গওহরী প্রমুখ।