ঢাকা: সড়ক পরিবহনখাত আপাদমস্তক সংস্কার ছাড়া সড়কে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (৬ আগস্ট) নোয়াখালীসহ সারাদেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে জন দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সরকার ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করলেও সড়কের মাফিয়াদের তাণ্ডবের কাছে নতিস্বীকার করে আইনটি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে বিগত সরকারের সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কাটছাঁট করে দুর্বল ও সড়ক নিরাপত্তাবিরোধী করার হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলে বিগত সরকারের পদলেহনকারী পরিবহনের মাফিয়া নেতারা পালিয়ে গেলেও নতুন নতুন মাফিয়া তন্ত্রের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতার সুযোগে সড়কে দুর্ঘটনার মহোৎসব শুরু হয়েছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, নৈরাজ্যের কারণে এমন মহামারিতে প্রতিদিন সারাদেশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, শত শত মানুষ আহত হচ্ছে, পঙ্গুত্ববরণ করছে। সড়কে সুশাসন না থাকায় একদিকে এসব ঘটনায় দায়ীদের বিচার হচ্ছে না, হতাহতরা ক্ষতি পূরণ পাচ্ছে না, আইনি সহায়তা পাচ্ছে না, সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো দারিদ্রতার কাতারে নেমে আসছে।
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী মনে করেন এই সেক্টরে আইনের সুশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতার অভাবে বর্তমান সময়ে সড়কে দুর্ঘটনার নামে গণহত্যা চরমভাবে বেড়েছে। অনতিবিলম্বে সড়ক পরিবহনখাত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।