ঢাকা: দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সংগঠন অ্যামফরি।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অ্যামফরি এর হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড নেটওয়ার্ক, জন স্টেলান্সন।
বৈঠকে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি সমন্বিত মানদণ্ড তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই দুই সংগঠনের একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
বৈঠকে জন স্টেলান্সন অ্যামফরি এর নতুন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন, যেখানে টেকসই উন্নয়নের দায়িত্ব সরবরাহকারী ও প্রস্তুতকারকদের হাতে হস্তান্তরের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কারখানাগুলো এবং তাদের ক্রেতা/ব্র্র্যান্ডরা, সাপ্লাই চেইনের পাফরমেন্স এবং লিড টাইম, উভয় বিষয়ই ভালোভাবে অনুমান করতে পারবে। অ্যামফরি এর এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সাপ্লাই চেইনে নিরীক্ষার পুনরাবৃত্তি এবং এর ফলে সৃষ্ট আর্থিক বোঝা কমানো। সংস্থাটি সামাজিক ও পরিবেশগত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় উৎপাদকদের বা প্রস্তুতকারকদের সক্রিয় এবং নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করতে চায়।
বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান, অ্যামফরি এর এই নতুন কর্মপরিকল্পনাকে স্বাগত জানান এবং পোশাক শিল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ডের জন্য একটি সমন্বিত মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার প্রতি বিজিএমইএ এর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি নিরীক্ষার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং দক্ষতা বাড়াতে একটি সমন্বিত নিরীক্ষা কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা প্রস্তুতকারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিজিএমইএ প্রস্তুতকারকদের কেন্দ্রে রেখে অ্যামফরি কর্তৃক নেওয়া এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে এবং শিল্পজুড়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং কারখানার ভেতরে উন্নয়নের সুযোগ চিহ্নিত করতে অ্যামফরি এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, সাপ্লাই চেইনে নিরীক্ষা প্রক্রিয়া আরও কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং স্বচ্ছ করার জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়সহ সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ফলপ্রসূ সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং সম্ভাব্য পাইলট কার্যক্রম নিয়ে আরও আলোচনার জন্য উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যামফরি হলো একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক সংস্থা, যা টেকসই বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলোকে তাদের সাপ্লাই চেইন আরও স্বচ্ছ, নৈতিক এবং পরিবেশবান্ধব করতে সাহায্য করা।