Thursday 11 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারাগারে বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:১৭ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২২

বেরোবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ

ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতে হাজির করার পর কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। তবে জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।

এদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিজ বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এর আগে, ১৮ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

বিজ্ঞাপন

অন্য আসামিরা হলেন— বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক একেএম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আবদুস সালাম বাচ্চু ও এমএম হাবিবুর রহমান।

আরও পড়ুন-বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার

দুদক জানায়, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেছেন আসামিরা। এ ছাড়া ৩০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া সম্পাদন করেছেন। এ ছাড়া ঠিকাদারের সঙ্গে করা চুক্তিতে অগ্রিম টাকা দেওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও আর্থিক সহায়তার কারণ দেখিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে অগ্রিম বিল দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিল পরিশোধ হওয়ার আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড় করে দেওয়া হয়, যা নিয়মবহির্ভূত।

মামলার অভিযোগে দুদকে আরও উল্লেখ করে, প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া নকশা না মেনে সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। সবশেষ দরপত্রে অস্বাভাবিক মূল্য প্রস্তাব (ফ্রন্ট লোডিং) থাকা সত্ত্বেও সরকারি ক্রয়বিধি (পিপিআর ২০০৮) অনুসারে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। এসব অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই