নোয়াখালী: টাকা আত্নসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু (৫৫) ও পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তারের (৩৯) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্র, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান বাবদ ২৯১ জনের কাছ থেকে ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন। তারা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে এসব টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি দল ছদ্মবেশে অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলুকে পাওয়া যায়নি, তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে পলাতক। প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তারও অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত বিভাগীয় প্রশিক্ষণে ছিলেন।
অভিযান চলাকালে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জীত কুমার কর্মকার ও আউটসোর্সিং কর্মরত অনিতা রানী শীল জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন পেন্ডিং আবেদনপত্র বের করে আনেন। প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে ১০০ থেকে ২০০ টাকা স্ট্যাপল অবস্থায় পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, এই টাকা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তারের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে।
সঞ্জীত কুমার কর্মকার আরও জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন সম্পন্ন করার জন্য চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার দুটি পৃথক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতেন। অভিযানের সময় ২৯১টি আবেদনসহ মোট ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
দুদকের অভিযোগ, এসব টাকা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তার পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রেখেছিলেন।