Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাক্ষ্য আইনের সংশোধনী : ‘ভিডিও কনফারেন্সে হবে বিচার কাজ’


২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৩

আব্দুল জাব্বার খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে  অপরাধের ধরনেরও পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটানো হচ্ছে অপরাধ। এসব অপরাধ প্রমাণ সহজ করতে প্রায় দেড়’শ বছরের পুরোনো সাক্ষ্য আইন সংশোধন করে যুগোপযুগি করতে কাজ করছে আইন কমিশন।

ইতোমধ্যে এ আইনটির খসড়া করে জনসাধারণের মতামত গ্রহনের জন্য আইন কমিশনের ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে।

নতুন এ আইনে ভিডিও কনফারেন্সেনের মাধ্যমে বিচারকরা তাদের বিচারিক কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।  আসামিদের আদালতে হাজির না করে জেলে রেখেও তাদের বিচারকাজ চালানো যাবে।  এতে শুধু আসামিরা নয়, সাক্ষী এমনকি আইনজীবীরাও ভিডিও কন্ফারেন্সেরে মাধ্যমে বিচারিক কাজে অংশ নিতে পারবেন। আইনটি ইংরেজি থেকে সম্পূর্ণ বাংলায় করা হচ্ছে। কাজটি শেষ হলে অপরাধ প্রমাণের কাজ আরো সহজ হবে বলে মনে করছে আইন বিশেষজ্ঞরা।

১৮৭২ সালের পুরোনো এ সাক্ষ্য আইনের সংশোধনীর বিষয়ে জানাতে চাইলে আইন কমিশনের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা ফউজুল আজিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাক্ষ্য ও বিচারিক কাজ (তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার) আইন, ২০১৭ এর প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে। এখন এ বিষয়ে জনসাধারনের মতামত গ্রহনের জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে।  এর একটি করে কপি প্রধানমন্ত্রীর এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্প ও আইনমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে।’

এর আগে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে ও পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বসে তাদের মতামত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

চুড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য আরও একটু সময় লাগবে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটি একটি যুগান্তকারি আইন হবে। তাই এটি নিয়ে আরও মতামত গ্রহণ করতে হবে। বেশ কিছু সেমিনারও করতে হবে।  আশা করছি সবকিছু চুড়ান্ত করে আগামী জুনের মধ্যে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

আইন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ আইনের বিষয় বস্তু হচ্ছে- বাংলাদেশের বিচারিক কাজ পরিচালনায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা এবং অন্যান্য বিচারিক কার্যক্রম সহজ করা। এ আইনটিকে আটটি অধ্যায় ভাগ করে তাতে ১৯টি সেকশন করা হয়েছে। এটা মূলত দেওয়ানী ও ফৌজদারি দুটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, আটটি আইনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।

১৮৭২ সালে সাক্ষ্য আইনটি চালু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তৎকালীন পাকিস্তান আমলে এই আইনটি প্রচলিত থাকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ নামে এ আইনটি চালু রয়েছে। ১৪৩ বছর যাবৎ আদালতে অপরাধের বিচার কিংবা বিশেষ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

আদালত ই-জুডিশিয়ারি ডিজিটাল আদালত সাক্ষ্য আইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর