বরিশাল: স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার আধুনিকায়নসহ তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার হবে না।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- শেবাচিম হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
যানবাহনের চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টায় নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। এতে ঢাকার সঙ্গে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। অবরোধ শুরুর সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরে গেলে শুরু হয় সড়ক অবরোধ।
ছাত্র-জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। টানা ১৫ দিন ধরে চলা এই আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় আজ চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করা হলো। এর আগে, আরও তিন দিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সমস্যা নিরসনে আলোচনা চলছে। আশা করি, দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে।