Tuesday 12 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইনজীবী আলিফ খুন: অভিযোগপত্রের শুনানিতে বাদীকে ডেকেছেন আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৫ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২১

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে খুনের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের আংশিক শুনানি হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ শুনানির সময় নির্ধারণ করে ওইদিন বাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের ওপর আংশিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। তবে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ৫ মে ওই মামলায় চিন্ময়কে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিজ্ঞাপন

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রেফতার আসামির জবানবন্দিতে সুকান্ত নামের একজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেলেও অভিযোগপত্রে নাম-ঠিকানা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তাকে আসামি করা হয়নি। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি শুনেছেন। এরপর ২৫ আগস্ট পরবর্তী শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন। ওইদিন বাদীকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।’

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।

শুনানির সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিন্ময়কে ভার্চ্যুয়ালি হাজির করা হয়। তবে গ্রেফতার অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত প্রাঙ্গনের অদূরে নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন নগরীর কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা সবাই চিন্ময়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে জামাল উদ্দিনের করা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নাম ছিল না। গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে সম্পৃক্ততা পাবার তথ্য উল্লেখ করে চিন্ময়কে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই মামলায় চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর