Thursday 11 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিম্নকক্ষ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে আন্দোলনে যাবে জামায়াত

‎স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫০ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩১

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপত্তি নেই। তবে দুই কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আন্দোলনে যাবে জামায়াতে ইসলামী।

‎রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

‎জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে জামায়াতের মৌলিক কোনো আপত্তি নেই। কারণ, আমরা আগেই বলছিলাম যে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, এপ্রিলেও হতে পারে। পরে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আরেকটা সভায় বলেছিলেন, ভোট রমজানের আগে হলেই ভালো হয়। আমরা জাতির পক্ষ থেকে উত্তম প্রস্তাব দিতে চেয়েছি। সুতরাং, ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধে নির্বাচন হবে। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনের তারিখকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি ‘

বিজ্ঞাপন

‎তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ফেয়ার করার শর্তটাকে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে চাই। সেজন্যে ঐক্যমত কমিশনের যে সুপারিশ আছে, সেগুলোকে আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং সেই ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হতে হবে। আমাদের কিছু বাড়তি পলিটিক্যাল দাবি আছে। আমরা একটি পোরশনে একমত হয়েছি- সেটি হচ্ছে, উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে, উচ্চ-নিম্ন উভয়কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব এবং সেটাকে রিয়ালাইজ করার জন্য চেষ্টা করব।’

‎আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু সিইসি আশ্বস্ত করেছেন যে, এ ব্যাপারে তারা কাজ করছেন। তারা আশাবাদী সবাই মিলে এরকম একটা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে পারবে।’

‎জুলাই সনদে জামায়াতে ইসলামীর সই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেটার যদি আইনিভিত্তি দেওয়া হয় এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই সই করব। কিন্তু অর্থহীন একটা কাগজে সিগনেচার করার কোনো মানে নেই।’

‎এ সময় সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, কুমিল্লা ১৪ গ্রাম আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ইস্যুতে কথা বলেছেন সিইসির সঙ্গে। সিইসি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সীমানা বিষয়ে আইনি মাধ্যমেই সমাধান হবে।

‎সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম