ঢাকা: ৩০০ নির্বাচনি আসনে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্পন্ন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণের শেষ ধাপ সম্পন্ন হয়।
শেষ দিন ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল দায়িত্বশীলদের থেকে যে সকল সম্ভব্য প্রার্থীর নাম এসেছে তাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আসনের সম্ভবনা, সংকট ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে একজনকে নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে আরও দুই দফা সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা তৃতীয় দফা সাক্ষাৎকার।
দলের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। একই সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে উভয়কক্ষে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
সোমবারের (১১ আগস্ট) সাক্ষাৎ গ্রহণ শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুস্থির ও সাবলীল করতে উভয় কক্ষে আমরাসহ দেশের অনেক রাজনৈতিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী পিআর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু, সরকার নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোনো আলোচনার এজেন্ডাই রাখেনি। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি কতটা ভংয়কর হতে পারে তার সাম্প্রতিক নজির দেখা গেছে গাজীপুরে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির সংবাদ করায় প্রকাশ্য কুপিয়ে ও জবাই করে সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় সাংবাদিকরা যে অন্যায়, ভোটচুরি ও ভোট ডাকতির তথ্য তুলে ধরবে তার সাহস কোথা থেকে পাবে সাংবাদিকগণ? আমরা মনে করছি, আসন্ন নির্বাচনে সাংবাদিক বা অন্য কেউ ভোট সংক্রান্ত অন্যায়ের তথ্য প্রকাশে ভয় তৈরি করতেই এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে এবারের নির্বাচনও আগের মতোই কলংকিত হবে। সামগ্রিকভাবে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না, ফলত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও তৈরি হচ্ছে না।’
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার প্রধান ক্ষেত্র হল নির্বাচন। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত, হানাহানি ও সহিংসতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরে। শত শত মানুষ এই রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারায়। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলাম। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি আশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হল, পরিস্থিতির আদতে কোনো উন্নতি হয়নি। বরং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও খারাপ হয়েছে। বিগত এক বছরের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের তথ্য তাই বলে।’