ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি পরিত্যক্ত খামারে থাকা ২০০টি কুমির হত্যা করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, খাদ্যের অভাবে কুমিরগুলো নরখাদক আচরণ শুরু করেছিল এবং মানুষের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। সংবাদমাধ্যম সিবিসির বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার বেসামরিক বিষয় তত্ত্বাবধায়নকারী সংস্থা কোগাট জানায়, নীল নদের কুমিরগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় একটি বন্ধ খামারে রাখা ছিল, যা প্রাণীর প্রতি নির্যাতনের শামিল। খামারটির বেড়া ২০১৩ সালে বন্ধ হওয়ার পর থেকে নষ্ট হয়ে যায়, ফলে বেশ কয়েকটি কুমির পাশের বসতি ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকায় পালিয়ে যায়।
কোগাট জানায়, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এই ঝুঁকি দূর করতে মানবিক উপায়ে কুমিরগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।’
খামারটি জর্দান ভ্যালির ইসরায়েলি বসতি পেতজায়েল-এ অবস্থিত। ১৯৯০-এর দশকে এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে চালু হলেও পরে কুমিরের চামড়া বাণিজ্যের খামারে রূপ নেয়। ২০১৩ সালে নীল নদ কুমিরকে সুরক্ষিত প্রাণীর তালিকাভুক্ত করে আইন প্রণয়ন হলে খামারটি বন্ধ হয়ে যায়।
ইসরায়েলি প্রাণী অধিকার সংগঠন লেট দ্য অ্যানিম্যালস লিভ দাবি করেছে, ২০০ নয়, ২৬২টি কুমির হত্যা করা হয়েছে। সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই প্রাণীগুলো কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। শূকর, কুকুর, শেয়াল, নেকড়ে ও বিভিন্ন পাখির মতো কুমিরদেরও নির্বিচারে হত্যা করা অনৈতিক, ক্ষোভজনক ও হৃদয়বিদারক।’
খামারের মালিক গাদি বিটান ইসরায়েলি গণমাধ্যম ওয়াই-নেট-কে জানান, ‘তাকে হত্যাকাণ্ডের আগে সতর্ক করা হয়নি। প্রাণীগুলো সুস্থ ছিল, ভালোভাবে খাবার পাচ্ছিল, এবং কখনও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।’