ঢাকা: একটি ধর্মভিত্তিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ভাইরাল হওয়া এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়নি; নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার ওপর কেউ হামলা করেনি— তিনি নাকে রং লাগিয়ে লাইভে এসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। একটি রাজনৈতিক দল নিজেরদের অপকর্ম আড়াল করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, তারা নিজেদের অপকর্ম দেখছে না। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে তাদের কোনো লাভ হবে না, কূট-কৌশল ও নীল নকশা করে কোনো রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।’
তিনি বলেন, `আমাদের দলের বা অঙ্গসংগঠনের নামে যারা অপরাধ করছেন বলে প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে। মাস্টারপ্ল্যান করছে। নিজেদেরকে আড়াল করে, নানা কল্পকাহিনি তৈরি করে বিএনপির নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মব কালচার আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। এই মব কালচার একটি বৃহত্তর ক্যান্সারের ঘা তৈরি করছে। এই মব কালচার সৃষ্টিকারীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কারও হাতে আইন তুলে নেওয়ার কোনো অধিকার নেই। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে অদৃশ্য করে দিত, বিচারবহির্ভূত হত্যা করত, সেই কারণেই সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। এমন আইন করা হোক, যাতে কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার সাহস না পায়।’
পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির জন্য দেশের মানুষ এখনো প্রস্তুত নয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এই দাবি যারা করছেন, তারা জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। গরীব অর্থনীতিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সাসটেইনেবল না। এ মুহূর্তে পিআর ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত না। এতে জটিলতা তৈরি করা ছাড়া কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না।’