ফ্রান্স: ইউরোপজুড়ে বিরাজমান তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। গত ১২ আগস্ট থেকে শহরের তাপমাত্রা দিনে ৩৪-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর মেটেও-ফ্রান্স রাজধানীর জন্য ‘অরেঞ্জ ওয়ার্নিং’ জারি করেছে, যা নির্দেশ করে যে উচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক মানুষকেও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
বয়স্ক, দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা ব্যক্তি, শিশু ও বাইরে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য পরিস্থিতি সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশন ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
শহর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের দুপুর ১১টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা পোশাক পরা, ঘরের জানালা-দরজা দিনের বেলায় বন্ধ রাখা এবং রাতে বাতাস চলাচল করানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
গরমের তীব্রতা কমাতে প্যারিসের বিভিন্ন স্থানে ‘কুলিং স্পট’ বা শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, ঠাণ্ডা পানীয় এবং বিশ্রামের জায়গা মিলছে। অনেক পার্কে স্থাপন করা হয়েছে মিস্টার ফোয়ারা, আর সাইন নদীর ধারে সাঁতার ও বিশ্রামের জন্য ভিড় বেড়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ ফ্রান্সের কিছু এলাকায় ইতোমধ্যেই লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাজধানীতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ ধরনের তাপপ্রবাহ এখন প্রায় নিয়মিত হয়ে যাচ্ছে, যা শহরের অবকাঠামো, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও সাধারণ জীবনযাত্রার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।