ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সময়সীমা আরও তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: বাংলাদেশের সামনে বিকল্পসমূহ’ শীর্ষক এক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এ আহ্বান জানান। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা এতে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমরা এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণকে সমর্থন করি, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দরকার। গত বছরের আগস্ট থেকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীদের আস্থায় প্রভাব পড়ছে। গত ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ১৩ শতাংশ কম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
স্বাগত বক্তব্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বাড়ানোর স্বপক্ষে পাঁচটি কারণ বা যুক্তি তুলে ধরেন আইসিসি সভাপতি। এগুলো হচ্ছে- ভালো বাণিজ্য দর কষাকষির জন্য; তৈরি পোশাকের বাইরে রফতানি বৈচিত্র্য আনা; শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা; বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো ও জলবায়ু সহনশীলতা টেকসই করা।
মাহবুবুর রহমান বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে শুল্ক বাড়বে ১২ শতাংশ। আর জিএসপিসহ অন্যান্য বাণিজ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে রফতানি কমবে ৬ থেকে ১৪ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সংস্থা দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের (টিডব্লিউএন) লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও গবেষক সানিয়া রেইড স্মিথ।
সেমিনারে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি একে আজাদ, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।