ঢাকা: পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট হাইকোর্টের এজলাসে হট্টগোল সৃষ্টি করে বিচারকাজের পরিবেশ বিঘ্নিত করেছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা। আদালতকে অসম্মান করে তারা যে আচরণ করেছেন তা বিচার বিভাগের জন্য অমর্যাদাকর। এর চেয়েও দুঃখজনক হলো সাধারণ আইনজীবীদের হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করেছেন। এ ছাড়া সুযোগ সন্ধানীদের মাধ্যমে গোপনে ভিডিও ধারণ করে বেআইনিভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আদালতের মর্যাদাহানি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারকাজে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে খায়রুল হকের আবেদন শুনানি নিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদকে হত্যার অভিযোগে সম্প্রতি খায়রুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় ও অন্যান্য রায় জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা চলমান রয়েছে। গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের একটি এজলাসে যা ঘটেছে, তা বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। গ্রেফতারের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তার জামিন ও তদন্তাধীন মামলা প্রত্যাহারের আবেদন শুনানিকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর আইনজীবীরা আদালতে অপেশাদার আচরণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের স্থপতি হলেন হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। তিনি বিচার বিভাগকে দলীয়করণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রধান হোতা। এ ছাড়া রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। দেশের সব গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলগুলোও খায়রুল হককে দেশ ও গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু আখ্যা দিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহসভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এমন বদরুদ্দোজা বাদল, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলীসহ সংগঠনের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের শতাধিক আইনজীবী।