ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সংবাদমাধ্যম ‘ঠিকানা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কারণে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়।’
তবে উপদেষ্টা পদ ছাড়ার পর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না বা কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগদানের প্রশ্নেও তিনি নীরব থাকেন।
মুরাদনগরে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধে তার বাবা বিল্লাল হোসেনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেন আসিফ। এ বিষয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করতে চান, তাই স্থানীয়ভাবে নির্বাচন করা তার জন্য সুবিধাজনক নয়। তিনি দাবি করেন, ক্ষমতার লোভে নয়, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করতেই সরকারে আছেন। এখনো জুলাই সনদ এবং স্থানীয় সরকারের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের মতো কাজ শেষ করতে চান তিনি।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সেনাপ্রধান প্রথমে মেনে নেননি—এমন একটি পুরনো বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আসিফ জানান, এটি সরকার গঠনের আগের ঘটনা। পরে সেনাপ্রধান রাজি হলেও ‘বুকে পাথরচাপা’ দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
তিনি আরও জানান, একটি মহল জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তুলে আনার চেষ্টা করছে এবং আওয়ামী লীগের ভালো ইমেজসম্পন্ন নেতাদেরও এ দলে আনার উদ্যোগ চলছে।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আসিফ। তবে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপি ও সহযোগী কয়েকটি দল অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় তা আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।’