কক্সবাজার: জেলার টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া পাঁচ জেলেকে এখনো ফেরত দেয়নি মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। নিখোঁজদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বিজিবি বলছেন, মাছ শিকারের সময় সীমান্তের বিষয়ে জেলেদের আরও সর্তক হওয়া দরকার।
গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে নাফ নদী থেকে মাছ শিকারের সময় স্পীড বোটে এসে অস্ত্রের মুখে নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। টেকনাফের সীমান্তবর্তীর জীবন-জীবিকার বড় মাধ্যম নাফ নদী।
এরই মধ্যে, তিনদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখানো জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়ায় যায়নি। নিখোঁজ জেলেরা হলেন-শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার জেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ তাঁর দুই ছেলে আক্কল আলী ও নুর হোসেন, কালু মিয়ার ছেলে সাবের হোসেন এবং নুর হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। জেলেদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় শোকের মাতম চলছে নিখোঁজদের পরিবারে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলে নিখোঁজের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের ফেরত পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের রামু’র বিজিবি সেক্টর কমান্ডর কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় জেলেরা মাছ শিকার করতে করতে মিয়ানমারের জল সীমায় চলে যায়। আর তখনই মিয়ানমারের ওপারে থাকা বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাই জেলেদের সবসময় সতর্ক করা হয় যেন মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের জলসীমায় না যায়। মিয়ানমারের কারো কোনো ক্ষমতা নাই এই পার থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া। তাই জেলেদের সতক থাকা জরুরি।’
দেড় বছর ধরে নাফ নদীর ওপারের মিয়ানমার অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। সীমান্তবর্তীর জীবন-জীবিকার মাধ্যম নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বারবার ঝুঁকিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের কাছে তাদের প্রত্যাশা নিরাপদ নাফ নদী ও জীবন।