Saturday 16 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপির ৪ নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বহিষ্কৃত যুবদল নেতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৫ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:৪০

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মমিনুর রহমান সাদ্দাম। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ স্থগিত করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মমিনুর রহমান সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন।

সেখানে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিককে চাঁদা না দেওয়ার কারণেই তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের চার নেতার বিরুদ্ধে ভূমি দখল, দোকান উচ্ছেদ, যৌন হয়রানি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মতো একাধিক অভিযোগ তোলেন।

বিজ্ঞাপন

তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়— ‘ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান চাপানি হাটে সমাজকল্যাণ অফিসের সামনে শহিদ মিনার ভেঙে জমি দখল করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় এক হিন্দু পরিবারের একমাত্র চায়ের দোকান ভেঙে দখল নিয়েছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে দায়িত্ব পালনকালে এক আয়া কর্মচারীকে ধর্ষণ করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া চাপানি হাটের উত্তর পাশে একটি স্কুল ও কয়েকটি দোকানঘর দখল করে সেখানে দেহব্যবসা চালানোর মতো অভিযোগে জড়িত।’

ফেসবুক পোস্ট।

পোস্টে সাদ্দাম হোসেন প্রশ্ন রাখে বলেন, ‘এরা কীভাবে জাতীয়তাবাদের দায়িত্বে থাকতে পারে? আমার পদ স্থগিতের আগে এদের বিচার হওয়া উচিত।’

গণমুক্তি পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তায় সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে প্রশাসন গাছ জব্দ করলে যুবদল নেতা সাদ্দাম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উনি বহিষ্কার হওয়ার পর সব কিছু আউল-বাউল করে বলছেন। সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তিনি উলটো সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন।‘

বহিষ্কৃত নেতা মমিনুর রহমান সাদ্দাম বলেন, ‘আমি দলীয় কোনো বিষয়ে পোস্ট করিনি, সাধারণ জনগণ হিসেবে লিখেছি। আপনি হয়তো তাদের নেতা মনে করতে পারেন, কিন্তু আমাদের কাছে তারা কিছুই না।’ এ কথা বলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কল কেটে দেন।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নানান অনিয়মের অভিযোগে এর আগেও সাদ্দামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে দলে বহাল করা হলে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে দলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’

সারাবাংলা/এইচআই

গুরুতর অভিযোগ বহিষ্কৃত বিএনপি যুবদল যুবদল নেতা