যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকার অশান্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের বিষয়ে ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তবে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এ প্রস্তাব তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে তিনটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
সূত্রগুলো জানায়, প্রস্তাবিত পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গত মাসে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মান্ডে সেমায়া কুম্বার ইসরায়েল সফরের সময় বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। যদিও দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ ধরনের খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তর ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেছে।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের জনগণকে দক্ষিণ সুদান বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার যে কোনো পরিকল্পনা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’ একই অবস্থান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয়ও। তবে হামাস এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘গাজায় তিনি সামরিক নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘায়িত করতে চান। তিনি বারবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।’ তবে আরব ও বিশ্ব নেতারা গাজার মানুষদের অন্য দেশে পাঠানোর ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফিলিস্তিনিরা এটিকে নতুন এক নাকবা হিসেবে দেখছেন—১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে যেমন লাখো মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
এদিকে ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারন হাসকেল জানান, ‘আলোচনার মূল বিষয় ছিল কূটনৈতিক সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক সংগঠন ও দক্ষিণ সুদানের মানবিক সংকট, গাজা থেকে ফিলিস্তিনি সরিয়ে নেওয়া নয়।’