ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্ররক্ষায় বিএনপি সবসময় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, যে স্বৈরাচারকে কিছুদিন আগে জনগণ বিতাড়িত করেছে, তার পুনর্জাগরণ প্রতিহত করতে আমরা আপনাদের মতোই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
রোববার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘কবিতা ও সংগীত যুগে যুগে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের সফল গণআন্দোলনেও এর প্রকাশ ঘটেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘কবি-সাহিত্যিকরা সময়ের পর সময় দেশপ্রেম ও জাতীয় চেতনাকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, অনেক সময় তা ব্যক্তিগত পরিচয়কে ছাড়িয়ে জাতীয় পরিচয়ের সমার্থক হয়ে উঠেছে।’
এ সময় তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বিশ্বসাহিত্যের কয়েকজন খ্যাতিমান কবির উদাহরণ টেনে বলেন, “কবিতা ও দেশাত্মবোধক গান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি বিএনপির দলীয় সংগীতে রূপ নেয়, যা জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক হয়ে আছে।”
তিনি বলেন, ‘মানুষের আবেগকে মূল্যায়ন করার একজন ধারক ও বাহক হচ্ছেন কবি-সাহিত্যিকরা। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়ার আদর্শ এখনও সমুন্নত। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আপনাদের মতোই। এই দেশকে মৌলবাদের চরমপন্থায় যাতে ঠেলে দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখব। এ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সবাই এক হব। একটি সুস্থ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাকস্বাধীনতা চাইলে, ভোটের মাধ্যমেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পথ খুঁজে নিতে হবে। সবার মধ্যে একটি ঐক্যের সৃষ্টি হোক।’
তারেক রহমান বলেন, ‘একজন প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী মানুষের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিত বাংলাদেশি। আমাদের আদর্শিক অবস্থান এক ও অভিন্ন। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’