গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন ত্রাণের সন্ধানে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান। এ ছাড়া, বেড়ে চলা খাদ্য সংকটের মধ্যে একইদিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩২ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নেওয়ার সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪২০ জনেরও বেশি।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহার-সম্পর্কিত মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৫৮ জনে, যার মধ্যে শিশু ১১০ জন।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ৪৭টি মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২২৬ জন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬ জনে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ২৪ লাখ মানুষের জন্য ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এরপর গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল আবার গাজায় পূর্ণাঙ্গ হামলা শুরু করে, যা জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দেয়। এরপর থেকে শুধু এ সময়েই ১০ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন আহত হয়েছেন।